ভারতের জনপ্রিয় গাড়ি নির্মাতা মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki) আবারও তাদের যাত্রীবাহী গাড়ির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাস থেকে এই মূল্যবৃদ্ধি কার্যকর হবে। এটি হবে চলতি বছরে সংস্থার তৃতীয়বারের মূল্যবৃদ্ধি। এতে গ্রাহকদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। জানুয়ারি ২০২৫-এ মারুতি সুজুকি গাড়ির দাম ৪% পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল, এরপর ফেব্রুয়ারিতেও কোম্পানি মহার্ঘের পথ অনুসরণ করে। যেখানে বিভিন্ন মডেলের দাম ১% থেকে ৪% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল।
দাম বাড়ানোর কারণ জানালো Maruti Suzuki
মারুতি সুজুকির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি এবং সরবরাহ চেইনের সমস্যার কারণে কোম্পানিকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। কোম্পানির সর্বশেষ নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সংস্থাটি ক্রমাগত খরচ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে, তবে কিছু অতিরিক্ত ব্যয় গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হতে পারে। তবে, সংস্থাটি এখনও ঘোষণা করেনি যে কোন মডেলের দাম কতটা বাড়বে। ধারণা করা হচ্ছে, বিভিন্ন মডেলের ওপর ভিন্ন ভিন্ন হারে দাম বাড়ানো হতে পারে।
ইন্দো-জাপানি সংস্থার গাড়ির দাম বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত আগেও একাধিকবার দেখা গিয়েছে। ডিসেম্বর ২০২৪-এ কোম্পানি ঘোষণা করেছিল যে জানুয়ারি ২০২৫ থেকে গাড়ির দাম ৪% পর্যন্ত বাড়বে, যা পরে কার্যকর করা হয়। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসেও গাড়ির দাম বাড়ানো হয়, যেখানে ১,৫০০ থেকে ৩২,৫০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছিল বিভিন্ন মডেলের ক্ষেত্রে। তখন কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি এবং সরবরাহ চেইনের অসুবিধার কারণে এটি করতে হয়েছে।
কোন মডেলগুলোর দাম বাড়তে পারে?
বর্তমানে মারুতি সুজুকি ভারতে Alto K10, S-Presso, Eeco, Celerio, Wagon R, Ignis, Swift, Baleno, Dzire, Fronx, Brezza, Ertiga, Ciaz, Grand Vitara, XL6, Jimny এবং Invicto-এর মতো জনপ্রিয় মডেল বিক্রি করে। ধারণা করা হচ্ছে, এই সমস্ত মডেলের দামই কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পাবে। তবে, নির্দিষ্ট কোনো মডেলের ক্ষেত্রে কতটা দাম বাড়বে, তা এখনো প্রকাশ করেনি কোম্পানি।
এই ধারাবাহিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে গাড়ি ক্রেতাদের জন্য মারুতি সুজুকির (Maruti Suzuki) মডেল কেনার খরচ আরও বাড়তে চলেছে। কোম্পানি যদিও বলছে যে, তারা ব্যবহারকারীদের ওপর প্রভাব কমানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে, তবুও এই নতুন দাম বৃদ্ধির ফলে মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের জন্য গাড়ি কেনা আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে।